জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

 জাতীয় বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (nubd.info) 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি এফেলিয়েট বিশ্ববিদ্যালয়। গাজীপুর জেলার বোর্ডবাজারে ১১.৩৯ একর জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যার্থী তালিকাভুক্তি অনুসারে এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়ন করে ২৮ লাখেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী। 

বিদ্যা বার্তার সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের তদারকি করতে গিয়ে অভ্যন্তরীণ শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনায় বাড়তি চাপে ছিল। সেই চাপ কমাতে ও অধিভূক্ত কলেজগুলোর মান উন্নয়নে লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১শে অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট ৩৭ নং আইন পাশ করে। এই আইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের কলেজ অধিভুক্তকরণ, পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, জ্ঞান উন্নয়ন ও বিতরণের কাজে বিশেষ দৃষ্টি প্রদান, শিক্ষা এবং গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি সাথে পরীক্ষার আয়োজনসহ ডিগ্রি প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া হয়। 

আরো পড়ুন: স্নাতক-সমমান ভর্তিতে সহায়তা দেবে সরকার

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা কাঠামো

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। তাঁর পরেই সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হলেন ভাইস-চ্যান্সেলর। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, বিভিন্ন স্কুলের ডীন, রেজিস্ট্রার, কলেজ ইন্সপেক্টর ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। সিনেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের উৎস।

বিদ্যা বার্তার সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম

অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলি ফ্যাকাল্টির ভিত্তিতে সাজানো নয়। এইগুলি স্কুলের ভিত্তিতে সাজানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবিধি অনুযায়ী এর তিনটি স্কুল রয়েছে (১) স্নাতক শিক্ষা স্কুল, (২) স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা স্কুল এবং (৩) পাঠ্যক্রম মূল্যায়ন ও পরীক্ষণ স্কুল। প্রত্যেকটি স্কুল একজন ডিনের অধীনে ন্যাস্ত রয়েছে। শিক্ষা কর্মসূচিসমূহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় এবং সারা দেশব্যাপী অধিভুক্ত কলেজ এইগুলি কার্যকর করে থাকে। 

আরো পড়ুন: সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করবেন যেভাবে

স্নাতক শিক্ষা স্কুল একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রণীত বিধি ,প্রবিধি অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম দেখাশুনা করে অধিভুক্ত কলেজগুলি। স্নাতক শিক্ষাস্কুলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বাবলির মধ্যে রয়েছে ভর্তি, নিবন্ধন, পরীক্ষাসহ  অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ধরণের স্নাতক ডিগ্রি প্রোগ্রাম রয়েছে (১) তিন বছর মেয়াদি পাস ডিগ্রি প্রোগ্রাম এবং(২) চার বছর মেয়াদি অনার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম। ডিগ্রি (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে ছাত্রদের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা পাস করতে হয়। স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ছাত্রদেরকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে অধিভুক্ত কলেজের কোনো বিষয়ের ছাত্র হিসেবে ভুক্তি হতে হয়। স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ ও গবেষণা স্কুল স্নাতকোত্তর ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কর্মসূচিতে নিবন্ধন ও ভর্তির ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণ করে। তদুপরি এই স্কুল ল’কলেজ, বি.এড কলেজ, চারুকলা কলেজ, মেরিন ফিসারিজ একাডেমির ন্যায় পেশাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বৃত্তিমূলক শিক্ষা পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ ও গবেষণা স্কুল এম.ফিল ও পিএইচ.ডি’র ন্যায় গবেষণা কর্মসূচিও পরিচালনা করে থাকে। এই স্কুলের অধীনে স্নাতকোত্তর ছাত্রদের জন্য কিছু গবেষণা বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে।

শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ ও বিভিন্ন চাকুরিকালীন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থাগ্রহণ এই স্কুলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এছাড়া জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনা করে আর্থ-সামাজিক জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে ডিজিটাল কৌশল ব্যবহারের নিমিত্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ শিক্ষদের শিক্ষা ও পেশাগত উন্নয়নের জন্য ২০০৬ সাল থেকে এম.ফিল ও পিএইচ.ডি প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে।

আরো পড়ুন: নতুন নিয়মে যেভাবে করবেন জন্ম নিবন্ধন

পাঠ্যক্রম মূল্যায়ন ও পরীক্ষণ কেন্দ্র

পাঠ্যক্রম মূল্যায়ন ও পরীক্ষণ কেন্দ্র আমাদের জাতীয় মূল্য ও ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে এবং উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান অগ্রগতির সঙ্গে ছাত্রদের পরিচিত করার লক্ষ্য নিয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে।দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও উন্নয়নের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বিদ্যা বার্তার সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪টি দ্বিবার্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এগুলি হলো আর্টস জার্নাল, সোসাল সায়েন্স জার্নাল, সায়েন্স জার্নাল এবং বিজনেস স্টাডিজ জার্নাল। প্রত্যেকটি জার্নালের জন্য রয়েছে পৃথক সম্পাদনা পরিষদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষক ও গবেষকগণ সাধারণত এই সকল পত্রিকায় গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে থাকেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘দি লিংক’ নামের একটি বুলেটিং প্রকাশিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় ঘটনাবলি ও কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য থাকে।

পরিকল্পনা

কাঠামোগত দৃষ্টিকোণ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের আসর্ববৃহৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একাডেমিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ যথাযথ পরিচালনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সকল একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষা বিভাগ, অর্থ বিভাগ, কলেজ পরিদর্শন বিভাগসহ কম্পিউটার এবং আইসিটি ইউনিট-`র কার্যক্রম সম্পূর্ন করা হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট  ,  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট ,  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নোটিশ ২০২২ , জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ , জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের নোটিশ , জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়