Breaking

Monday, August 15, 2022

বিনাখরচে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা:শেভেনিং স্কলারশিপ


যুক্তরাজ্যে পড়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয় একটি স্কলারশিপ হলো ব্রিটিশ চেভেনিং বা শেভেনিং স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপ যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি-প্রত্যাশীদের দেওয়া হয়ে থাকে। যুক্তরাজ্যে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য শেভেনিং স্কলারশিপ আবেদন গ্রহণ করা শুরু করেছে।

বিদ্যা বার্তার সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

এ স্কলারশিপের অফিশিয়াল নাম শেভেনিং মাস্টার্স স্কলারশিপ, যা ১৯৮৩ সাল থেকে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের অর্থায়নে যাত্রা শুরু করে। প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপের আওতায় যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দেওয়া হয়। বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারেন।

আরো পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা : প্রস্তুতি, পরামর্শ ও খুঁটিনাটি

যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ বৃত্তির জন্য অর্থায়ন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন—এমন যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণদের বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ করে দেয় শেভেনিং বৃত্তি।

বিদ্যা বার্তার সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

এই বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের একটি নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়। এই বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য অধ্যয়ন করতে পারবেন। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা, নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা, নিজের দেশ ও সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাবের দিকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

শেভেনিং স্কলারশিপের আবেদনের যোগ্যতা

১ .আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে শেভেনিং স্কলারশিপের আওতাভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে।

২.বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে দুই বছর কাজের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

৩.নিজ দেশে স্নাতক ডিগ্রি-সম্পন্ন হতে হবে।

৪.২ হাজার ৮০০ ঘণ্টা (দুই বছর) কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৫.স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ২০২৩ সালের ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যের তিনটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

৬.আবেদনকারী ব্রিটিশ বা দৈত ব্রিটিশ নাগরিক হলে আবেদন করা যাবে না।

৭.এছাড়াও যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে আগে সেখানে পড়াশোনা করলে আবেদন করা যাবে না।

বিদ্যা বার্তার সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

শেভেনিং স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা

১.শেভেনিং স্কলারশিপ একটি ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ।

২.বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি।

৩.মাসিক বৃত্তি।

৪.দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়া-আসার ভ্রমণ ব্যয়।

৫.যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর ভাতা।

৬.ভিসা আবেদনের ফি।

৭.যুক্তরাজ্যে শেভেনিংয়ের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ গ্রহনের জন্য ভ্রমণ ভাতা।

আরো পড়ুন:সিঙ্গাপুরে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ

শেভেনিং স্কলারশিপের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১.প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ রেফারেন্স লেটার।

২.ইংরেজি ভাষায় দুটি রেফারেন্স লেটার বা সুপারিশপত্র।

৩.পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র।

৪.সর্বশেষ পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ।

৫.যুক্তরাজ্যের অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শর্তহীন অফার লেটার অনলাইনে সাবমিট করতে হবে।

বিদ্যা বার্তার সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

শেভেনিং স্কলারশিপে আবেদনের নিয়ম

১.শেভেনিং বৃত্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্সে আবেদন করতে হবে।

২.বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভর্তির ‘অফার লেটার’ সংযুক্ত করতে হবে।

৩.প্রাথমিক ভাবে  যাচাই বাছাইয়ের পর মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে।

এই ওয়েবসাইটে দেখুন :

আবেদনের শেষ সময়: ১ নভেম্বর, ২০২২

যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে

১.আবেদনে সময় সব তথ্য ঠিকঠাকভাবে দিতে হবে।

২.নেটওয়ার্কিংয়ের দক্ষতা, আগামী দিনের নেতৃত্বদানের সম্ভাবনা বৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়।

৩.আপনি যদি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেটিও কাজে আসবে।

No comments:

Post a Comment