jkkniu admission circular 2020 21 : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ভর্তি আবেদন শুরু হবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
jkkniu notice board : মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আসন সংখ্যা
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের অধীনে মোট ১৬০টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০টি, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০টি, এনভায়রনমেন্টাল সায়ন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০টি এবং পরিসংখ্যান বিভাগে ৪০টি আসন রয়েছে।
‘বি’ ইউনিটের অধীনে মোট ৭০০টি আসন রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ৫৫টি, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ৫০টি, সংগীত বিভাগে ৫৫টি, অর্থনীতি বিভাগে ৫০টি, চারুকলা বিভাগে ৪০টি, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ ২৫টি, লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগে ৫০টি, ফোকলোর বিভাগে ৫০টি, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ২৫টি, আইন ও বিচার বিভাগে ৫০টি, নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৫০টি, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগে ৫০টি, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগে ৫০টি, দর্শন ভিাগে ৫০টি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ৫০টি বিভাগ রয়েছে।
‘সি’ ইউনিটের অধীনে রয়েছে ২২০টি আসন রয়েছে। হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগে ৫০টি, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগে ৪০টি, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট বিভাগে ৫০টি, ব্যপস্থাপনা বিভাগে ৫০টি এবং মার্কেটিং বিভাগে ৩০টি আসন রয়েছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের যোগ্যতা
২০১৭,২০১৮ ও ২০১৯ সাল এর এসএসসি/সমমান এবং ২০২০ ও ২০২১ সালের এইচএসসি/সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), ‘এ’ লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় [সমমান নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদন-ক্রমে] উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের নিয়মাবলি
jkkniu.edu.bd application form : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নিন্ম লিখিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে-
(ক) আবেদন করার জন্য আবেদনকারীদের এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিচের তথ্য দিয়ে লগইন করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট, রোল নম্বর, এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন নম্বর।
(খ) উল্লিখিত তথ্যগুলো সঠিক হলে আবেদনকারী তার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন সাবজেক্টে প্রাপ্ত নম্বর, এইচএসসি এবং এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএসহ একটি ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবে।
(গ) এখন ভর্তি আবেদন করার জন্য অ্যাপলাই নাও বাটনে ক্লিক করতে হবে। এই সময় কোটা সংক্রান্ত তথ্য দেখাবে। কোটা না-থাকলে No Quota, কোটা থাকলে নির্ধারিত কোটা নির্বাচন করে পরবর্তী ধাপে যাবে।
(ঘ) এই ধাপে আবেদনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদ এবং অনুষদে অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলো দেখতে পাবে। আবেদনকারী এই বিজ্ঞঘপ্তিতে উল্লিখিত অনুষদ এবং বিভাগীয় আবশ্যিক শর্ত পূরণ করলে বিভাগের পাশে টিক চিহ্ন, শর্তপূরণ না করলে ক্রস দেখতে পাবে। আবেদনকারী যে অনুষদে আবেদন করতে ইচ্ছুক, সেই অনুষদের পাশের Apply বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যাবে।
(ঙ) এই ধাপে আবেদনকারীকে তার নির্ধারিত অনুষদের জন্য আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন অনলাইন গেটওয়ে এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবা (সোনালী ব্যাংক, বিকাশ, নগদ, ইউ-ক্যাশ ইত্যাদি) এর মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে। বিস্তারিত ‘আবেদন ফি জমা দেওয়ার পদ্ধতি’ অনুচ্ছেদে পাওয়া যাবে।
(চ) আবেদন ফি জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আবেদনকারী (Application Status পেজ আসবে। এখানে আবেদনকারী তার সকল আবেদন দেখতে পাবে এবং প্রতিটি আবেদনের ফি-জমাদানের রশিদ ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করে সংগ্রহ করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিটি ইউনিটের জন্য চার্জসহ ৫১০ টাকা ফি দিতে হবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/দাখিল/সমমান ও এইচএসসি/আলিম/সমমান পরীক্ষার ৪র্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত জিপিএর সঙ্গে নিম্নলিখিত নিয়মঅনুযায়ী গুণ করে সর্বোচ্চ যথাক্রমে ১২ ও ১৮ নম্বর (সর্বমোট ৩০ নম্বর) যোগ হবে। জিপিএর ক্ষেত্রে নম্বর যোগ করার নিয়ম নিম্নরূপ- এসএসসি/সমমানে প্রাপ্ত জিপিএর সঙ্গে ২.৪ গুণ হবে এবং এইচএসসি/সমমানে প্রাপ্ত জিপিএর সঙ্গে ৩.৫ গুণ হবে। ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় প্রাপ্ত লেটার গ্রেডের গ্রেডপয়েন্ট অনুরূপভাবে জিপিএ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটায় আবেদন নিয়মাবলি
কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীকে আবেদনের সময় অবশ্যেই নির্ধারিত কোটা উল্লেখ করতে হবে। আবেদনের সময় কোটা উল্লেখ না করলে পরবর্তী সময়ে তাকে আর কোটায় বিবেচনা করার সুযোগ থাকবে না। ভর্তির সময় কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য নিম্নলিখিত সনদ অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
(ক) এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার মূল নম্বর-পত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, মূল সনদ-পত্র, ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
(খ) মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিচ্ছুদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত পিতা/মাতা, দাদা/দাদী, নানা/নানীর মুক্তিযোদ্ধার মূল সনদপত্র এবং মুক্তিবার্তা/গেজেট এর ছায়ালিপি; অন্য কোন সনদ গ্রহণযোগ্য নয়।
(গ) মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনী কোটায় ভর্তিচ্ছুদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার বিবাহ এর কাবিন-নামা, জাতীয় পরিচয়-পত্র, সনাতন ও অন্যান্য ধর্মালম্বীদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার বিবাহের এফিডেভিট এবং তাদের জাতীয় পরিচয়-পত্র।
(ঘ) অন্যান্য কোটায় ভর্তি ইচ্ছুদেরকে সংশ্লিষ্ট কোটা প্রমাণের সপক্ষে মূল সনদ-পত্র।
১. মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির জন্য প্রক্রিয়াধীন সনদ বিবেচনায় আনা হবে না।
২. সনদ যাচাই অন্তে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করা হবে।
৩. যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির জন্য ১% আসন সংরক্ষিত থাকবে। সেক্ষেত্রে সাক্ষাতকারের সময় তাদের প্রমাণ-পত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
৪. হরিজন কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সনদ এবং জন্ম-সনদ জমা দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment